সিলেটের আলাপ ডেস্ক :ভারতের মণিপুরে দুই কুকি নারীকে গণধর্ষণের পর নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনায় উত্তাল পুরো ভারত। এরই মধ্যে সামনে এলো আরেকটি ঘটনা। রাজ্যটির রাজধানী ইমফলে একই পরিবারের দুই বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যদিও ঘটনাটি দুমাস আগের।
সম্প্রতি মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে নগ্ন করে গ্রামে ঘোরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, নগ্ন অবস্থায় দুই নারী গ্রামে হাঁটছেন। তাদের ঘিরে রেখেছে একদল পুরুষ। যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি ঘটেছিল দুই মাস আগে। এমন ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। মণিপুরে নারীরা আদিবাসী নারীদের ওপর যৌন হামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দিয়েছে। শুক্রবার রাজ্য পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় কয়েকজন আটকও হয়েছেন।
শনিবার সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা গেছে, নতুন করে যে দুই আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের একজনের ২১ অন্যজনের ২৪ বছর। আগের ঘটনার স্থানের চেয়ে কাছাকাছি। মণিপুরে সে সময়ে স্থানীয় কুকি ও মাইতি সম্প্রদায়ের সহিংসতা চলছিল। কয়েকজন জোর করে বাড়িতে প্রবেশ করে দুই বোনকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা করে।
এ ঘটনায় তাদের বাবা থানায় প্রাথমিক অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে কিছু তথ্য হাতে এসেছে দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরে প্রায় তিন মাস ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। প্রধানত মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সহিংসতায় ১২০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। এ সংঘাতে ৮০০’র বেশি গুরুতর আহত ও ২৯০টির বেশি গ্রামের সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি তছনছ হয়েছে। এদিকে, পুরো ঘটনায় প্রথমে মোদি নিরব থাকলেও অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।