সিলেটের আলাপ ডেস্ক :আগেকার দিনে লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমিকার কাছে প্রেমপত্র পাঠিয়ে প্রেম নিবেদন করতেন প্রেমিক বা প্রেমিকারা। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে এখন প্রেমপত্রের মাধ্যমে প্রেমের এমন ঘটনা খুবই বিরল। তার স্থান দখল করেছে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এখানে বসেই প্রেমিক বা প্রেমিকা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে অবস্থানরত তার মনের মানুষের কাছে প্রেম নিবেদন করতে পারেন। এমনিতে প্রেম করতে গেলে যে লোকলজ্জার ভয়, এ ক্ষেত্রে তা নেই। কেউ দেখতেও পায় না। নাকও গলাতে পারে না প্রেম নিয়ে। এমনই প্রেমে বাঁধা পড়ছেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রেমিক বা প্রেমিকা। সম্প্রতি এমন ঘটনা পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি নারী সীমা হায়দার কাহিনীর মতো বাংলাদেশি জুলি নামের এক যুবতী তার প্রেমিক অজয়ের সন্ধানে পাড়ি দেন উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদে।
অজয়ের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয়। তারপর প্রেম। ভালোবাসা। জুলি ভারতে যাওয়ার পর অজয়ের সঙ্গে আবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন। অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর দিয়ে বলছে, কিন্তু জুলিকে ছেড়ে দেয়ার পাত্রী নন অজয়ের মা। তিনি এ বিষয়ে মুরাদাবাদ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
তার ছেলেকে উদ্ধারে পুলিশের সহায়তা চেয়েছেন। বলেছেন, তার ছেলেকে প্রলুব্ধ করে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন জুলি। অজয়ের মা অভিযোগে বলেছেন, বাংলাদেশে আসার পর অজয়ের বেশ কিছু ছবি তাকে পাঠিয়েছেন জুলি। এসব ছবিতে অজয়কে দেখা গেছে রক্তমাখা। ফলে তিনি ভীত শঙ্কিত হয়ে পড়েন। মুরাদাবাদ পুলিশে অভিযোগ দেন। অনুরোধ করেন তার ছেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই পুলিশ স্টেশন থেকে বলা হয়েছে, মুরাদাবাদের এএসপিকে একটি আবেদন দিয়েছেন অজয়ের মা। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশে ঘটে যাওয়া আরেক ঘটনার মতো। সেখানে পাকিস্তানি যুবতী সীমা হায়দার তার পার্টনার শচীন মীনার প্রেমে পড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে উপস্থিত হন গ্রেটার নয়ডায়। সঙ্গে তার চার সন্তানকে নিয়ে যান। অনলাইনে পাবজি খেলার সময় শচীনের সঙ্গে তার পরিচয়। তারপর প্রেম, ভালোবাসা।
ফলে মে মাসে তিনি সন্তানদের নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। তাকে ৪ঠা জুলাই গৌতমবুদ্ধ নগর পুলিশ গ্রেপ্তার করে ভিসা ছাড়া চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশের দায়ে। সোমবার এই যুগল ও দুটি সন্তানকে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ইউপি-এটিএস)। এর একটি সূত্র বলেছেন, মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ওই যুগলকে। পাকিস্তানে আত্মীয়-স্বজনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সীমা হায়দারকে। তিনি বলেছেন, তার একজন আঙ্কেল ও ভাই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন। তিনি উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য সদস্য রিক্রুটের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তার ভাই। তার অন্য ডকুমেন্ট এবং পরিচয় যাচাই করা হয়েছে। তিনি একজন গুপ্তচর কিনা তা নিশ্চিত হতে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।