সিলেটের আলাপ ডেস্ক :বিয়ের আসরে বাংলাদেশি মেয়ে মিন্নি আকতার মিথুনের সঙ্গে এক চীনা নাগরিকের পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর চীন থেকে নীলফামারীতে এসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রেমিক ঝানরুই। এমনকি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নতুন নাম রেখেছেন মোহাম্মদ লাবীব।
গত মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে হয়। এর আগে ঈদুল আজহার দুদিন আগে চীনা নাগরিক লিন প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন। বর মোহাম্মদ লাবীব ওরফে লীন ঝানরুই চীনের গুয়ানডং শহরের চিশুয়ী টাউনের লীন সিংকের ছেলে। অপরদিকে কনে মিন্নি আকতার মিথুন সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজ পাড়ার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরের উত্তরা ইপিজেডের টিএইচটি-স্পেস ইলেট্রিক্যাল কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন চীনা নাগরিক লীন ঝানরুই। একই কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিন্নিও। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সৈয়দপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারের এক সহকর্মীর বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় লীন ঝানরুই ও মিন্নির। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম। এরই মধ্যে লীন ঝানরুইকে তার কোম্পানি বিশেষ কারণ দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমিকার টানে গত ঈদুল আজহার দুদিন আগে লীন ছুটে আসেন সৈয়দপুরে। তারপর গত মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) লীন আদালতের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোহাম্মদ লাবীব নাম রাখেন। ওই দিনই শহরের অভিজাত একটি হোটেলে ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লাবীব ও মিন্নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিন্নি আকতার মিথুন বলেন, মুসলিম শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়েছে। চাকরি বড় বিষয় নয়, দুজনই নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার গড়তে চাই। লাবীব যদি তার দেশে নিয়ে যেতে চায়, তাহলে অবশ্যই চলে যাব।
তবে চীনা নাগরিকের ইসলাম ধর্মগ্রহণ এবং বিয়ের বিষয়টি জানেন না বলে জানান সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। তবে দেশের প্রচলিত আইনে ধর্মগ্রহণ বা বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।