গোবিন্দ শীল :সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনটি সহিংস রূপ নেওয়ার এক পর্যায়ে ১৯ জুলাই রাত থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করা হয়। এর আগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্রলীগ। ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট সেবা, আর তার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট। পরে ওইদিন রাত ১২টা থেকেই জারি করা হয় কারফিউ। এরপর ঢাকা থেকে সব জেলা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় ১৭ বছর পর বাংলাদেশে আরেকটি কারফিউ জারির ঘটনা ঘটল। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সবশেষ কারফিউ জারি করা হয়েছিল।
এ রকম পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্ম অভ্যস্ত নয়। সে বিষয়ে পরে কথা বলা যাবে। কিন্তু এমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার বিরল পরিস্থিতিতে দেশের প্রান্তিক এলাকার মানুষেরা কী ভাবছিলেন সেটি নিয়েই এই লেখা। আমরা কথা বলেছি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার লোকজনের সঙ্গে এবং ঠাকুরগাঁও জেলার কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের কাছে চলমান আন্দোলন, প্রাণঘাতী সংঘর্ষ, সরকারের ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষণের কথা জানতে চেয়েছি। মজার বিষয় হলো, তাদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক এবং নিরপেক্ষ ও সমালোচক তিন ধরনের মতামত দিলেও, তারা কেউই নাম প্রকাশ করতে চাননি। এ বিষয়টি নিয়ে গভীর ভাবে ভাবার অবকাশ আছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। তথ্য পাওয়া নাগরিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও টেলিভিশন ছাড়া তথ্য পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। এ যুগ ডিজিটাল হওয়া সত্ত্বেও আমরা হঠাৎ করে এনালগ যুগে চলে গেলাম। এটি মারাত্মক মানসিক চাপ ও যন্ত্রণা তৈরি করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘কারও ভুলেই হোক অথবা ইচ্ছাকৃত হোক, চারদিক থেকে শুধু সহিংস সংঘর্ষের সংবাদ পাচ্ছিলাম। ফলে মনে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আরও বেড়ে যায়। সাংসারিক কাজে বাইরে যাব কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করছিল। এরমধ্যে যখন ভারতবিরোধী কিছু স্লোগান কোনো কোনো মিছিল থেকে টেলিভিশনে শুনতে পাই, তখন মনটা আরও অস্থির হয়ে পড়েছিল। কারণ, এদেশে নানা রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করা হয়। কারফিউর সময় যখন জনতার জন্য তথ্য খুব জরুরি ছিল, তখনই তথ্য ব্ল্যাকআউট করা হলো। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
ইংরেজির এই শিক্ষক বলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। মূল্যস্ফীতির মধ্যে এটাও আমাদের শঙ্কিত করেছিল। সরকারের অবস্থা নিয়ে আমি মোটেও ভাবিনি। আমি জানি সরকার থাকলে বা চলে গেলে আমার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।’ তিনি বলেন, মানুষের মনে নানা অসন্তোষ দীর্ঘদিন ধরে দানা বেঁধে উঠেছিল। আর এরই মধ্যে সরকার ও বিরোধীদের চাপাচাপিতে আমরা পিষ্ট হয়ে গেছি। মনে হচ্ছিল যে বিরোধী দলকে চরম নিপীড়ন করা হয়েছে, সুযোগ পেলে তারা তো ফুঁসে উঠবেই। এটি তো স্বাভাবিক ছিল। আমার সাধারণ জ্ঞানে এটি মনে হয়েছে যে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ঘটনাটি কোটা আন্দোলনকারী ছাত্ররা করেননি।
কথা হয় ঠাকুরগাঁওয়ের একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে। তার মতে, ‘সংঘর্ষ হিংসাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে, ছাত্রলীগ ও পুলিশ যখন যৌথভাবে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা শুরু করে তখন। এ সময় তার মনে হয়েছিল ওঁৎ পেতে থাকা তৃতীয় পক্ষ এটির সুযোগ নিতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘আর কারফিউর ফলে দিন আনা দিন খাওয়া লোকেরা চরম বিপদে পড়ে যান। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়, ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। কৃষকরা বাজারে আসতে পারছিলেন না। ফলে জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে যায়। কাঁচা মরিচের দাম হয়ে যায় ৬০০ টাকা কেজি। এটি কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। এমনিতেই দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি। তার ওপর এই কারফিউ যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের ছাত্ররা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তা আমি বিশ্বাস করি না। ওঁৎ পেতে থাকা তৃতীয় পক্ষের কারণে আন্দোলনে সহিংস মাত্রা যোগ হয়।’ নিজের এলাকার কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘প্রথমে কোনো কোনো মা-বাবা তাদের সন্তানদের আন্দোলন থেকে ফেরাতে চাইলেও পারেননি, এবং পরবর্তী সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের অভিভাবকরা পুলিশকে বলেছেন, ‘যদি আপনারা সাধারণ ছাত্রদের প্রতি সহিংস হয়ে ওঠেন, তাহলে আমরাও আন্দোলনে যোগ দেব’। এতে পুলিশ কিছুটা ভড়কে যায় ও কিছুটা মনোবল হারায় বলে মনে হয়েছে।’ এই সাংবাদিকের মতে, শিক্ষার্থীরা বুঝতে পেরেছিলেন ২০১৮ সালের একই আন্দোলনের মতো ফলাফল শূন্য হয়ে যেতে পারে, তাই আন্দোলনকারীরা এবার আরও বেশি একনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘শাসক দলের মধ্য থেকেও অনেকে সরকারের সমালোচনা শুরু করেন। ছাত্রলীগের অনেকে পদত্যাগ করা শুরু করেন।’ তিনি মনে করেন, ছাত্রলীগ আক্রমণ না করলে এই আন্দোলন হয়তো সহিংস হতো না। আর, ওঁৎ পেতে থাকা কিছু মানুষ ছাত্রলীগের আক্রমণের সুযোগটা লুফে নেয়। আর এটি সম্ভব হয়, কারণ, গত ১৫ বছরে নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ক্ষোভ ছিল। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া এই সাংবাদিক বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এ সময় যখন বেনজীর, মতিয়ার, আবেদ আলীর কাহিনিগুলো জনসমক্ষে আসতে শুরু করল, তখন সরকারের জনপ্রিয়তা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে বলে আমি মনে করি।’
তার মতে, ‘সার্বিক পরিস্থিতিতে সরকারকে দৃশ্যত সমর্থন করতেন এদের অনেকেই এখন সরকারের বিপক্ষে চলে যান বা চুপসে যান। সরকার ও প্রশাসন সাধারণ মানুষের কোনো মতামতকেই তোয়াক্কা করেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা কোটা আন্দোলন করছিলেন, তাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন, অভিভাবক ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বসে আছেন। ফলে এই আন্দোলনকে হুট করে থামিয়ে দেওয়া সহজ নয়। এটি এখন সুপ্ত আকারে আছে। সরকারের নৈতিক জায়গাটাও অনেক দুর্বল।’ ফলে, কোটা আন্দোলন সহজেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মত দেন এই সাংবাদিক।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও একরোখা ভাবের কারণে সরকার অনেক বেকায়দায় পড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের বুকটান ভাবটি আর নেই। পুলিশের সহযোগিতায় যদিও ছাত্রলীগ আন্দোলন দমন করতে চেয়েছিল, ছাত্রদের স্পৃহার তোড়ে তারাও সটকে পড়ে। এমনকি ছাত্রলীগেরই অনেকে কোটা আন্দোলনকে সমর্থন করা শুরু করেন।’
প্রান্তিক জেলার এই সাংবাদিক বলেন, আমারও মনে হয়েছে গত ১৫ বছরে যেসব আর্থসমাজিক পরিবর্তন দরকার ছিল তা তো সেভাবে হয়নি। সরকার জনগণের চেয়ে প্রশাসন, র্যাব, পুলিশের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের কোনো মূল্য এখন নেই। সরকারের সমালোচনা করার সুযোগও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। ওঁৎ পেতে থাকা কিছু মানুষের কথা যে তিনি বলেছিলেন, সে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে যে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কথাই বুঝিয়েছেন, তা নয়। আমি নিজের এলাকার বিএনপি ও জামাতের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করেন বলে জানান। কিন্তু তাদের পক্ষ হয়ে লড়াই করার ক্ষমতা তাদের নেই। তারা নেতৃত্ব দিতে অপারগ। অনেক ধরপাকড়ের পর এই পর্যায়ে তাদের আন্দোলনে মদদ দেওয়ার মতো কোনো শক্তি নেই।
বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক বলেন, সহিংস আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া কারফিউর কারণে তিনি মারাত্মক অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। আমি রোজ হাঁটাহাঁটি করি। আর এ সময় আমি গৃহবন্দি হয়ে গেলাম। এই অধ্যাপক বলেন, ‘তিনি আতঙ্কিত ছিলেন।’ তার মনে হয়েছিল, ‘সংখ্যালঘু ও প্রগতিশীল লোকদের ওপর আঘাত আসতে পারে, যেমনটি অতীতে হয়েছে। এই কোটা আন্দোলন অনেকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে এই আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আগের বরাদ্দ ৫৫-৫৬ শতাংশ কোটা কখনো ঠিকমতো পূরণ হতো না। তখন মেধা তালিকা থেকেই চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হতো। প্রথমে আন্দোলনটি ছিল কোটা বিরোধী, পরে হলো কোটা সংস্কারের আন্দোলন আর সবশেষে সরকারি চাকরিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। ফলে আন্দোলনকারীরা ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান বদল করেছে।’
বাংলার এই সহকারী অধ্যাপক তার ঢাকায় পড়াশোনারত সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘সে তখন ঢাকায়। ফলে তার শারীরিক নিরাপত্তা নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম।’ অন্য দুজনের মতের বিরোধিতাও করেন এই শিক্ষক। বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ ঘরের সন্তান ছিলেন। তাদের যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর পড়াশুনার অবস্থা ছিল না। সংসারের ঘানি টানতে হয়েছে। তারা সরকার থেকে কোনো সুবিধা সে সময় পাননি। সাধারণ ঘরের সন্তান হওয়ার কারণে তাদের সন্তানদের বেশিদূর পড়াতে পারেননি। ফলে তাদের জন্য বরাদ্দ কোটা নিয়ে বিরোধিতা করাটা আসলে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের স্বাধীনতার চেতনার বিরোধিতার শামিল। এই অধ্যাপক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কেবল ব্যক্তিবিশেষ নন। তারা একটি আদর্শ, একটি দর্শনের ধারক ও বাহক। তারা বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের মতো। কিন্তু বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের মধ্যে জামাত, শিবির, বিএনপিকে ঢুকিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে খর্ব করা হয়েছে। এই অনুপ্রবেশকারীরা গত ১৫ বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করে আসছিল দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য। এই গোষ্ঠীটি সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মিশে গেছে। কেননা, ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। এভাবে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ধীরে ধীরে তাদের মূল আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে। দেখুন, গত পনেরো বছরে দেশে লাশের রাজনীতি হয়নি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো সেশনজটও ছিল না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কর্র্তৃক গেস্টরুম কালচার, টর্চার সেল, ছাত্রদের সামাজিক ও মানসিক নির্যাতন তাদের রাজনৈতিক দর্শনের পরিপন্থী। তারা এক ধরনের দর্শনহীনতার মধ্যে ছিল, সঠিক নেতৃত্ব ছিল না। এক ধরনের সাংস্কৃতিক শূন্যতাও তৈরি হয়েছিল। আর এই সুযোগটি যথাসময়ে কাজে লাগিয়েছে তৃতীয় পক্ষটি। ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেনি, তেমনি অন্যদেরও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে দেয়নি। ফলে, দেশে একটি রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। আন্দোলনের এক পর্যায়ে সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও পুলিশ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেনি বলে এই শিক্ষক মনে করেন। তাতে করে দীর্ঘদিন ধরে হোমওয়ার্ক করা তৃতীয় পক্ষ খুব সুন্দরভাবে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ ও সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে দিয়ে এই পরিস্থিতি শান্ত হবে না। এরা লুটপাট ও নানা অবৈধ কাজের মধ্য দিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। এদিকে উচ্চমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনেক লোকের মধ্যে একটি সরকারবিরোধী মনোভাব কাজ করছিল। তরুণরা দীর্ঘদিন বেকার ছিল, কভিড-১৯ এর মধ্যে ও পরবর্তীকালে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় তাদের কর্মসংস্থান ঘটেনি। এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যায়। এ বিষয়গুলো কোটা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই এই আন্দোলন থেকে সরকারের অনেক কিছু শেখার রয়েছে।
লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
govindashil@gmail.com
খবর পেতে সিলেটের আলাপ লাইক পেইজে ( LIKE ) দিতে ক্লিক করুন
সিলেট আলাপ// নাহিদ