শরিফা বেগম শিউলী,রংপুর প্রতিনিধি: কুয়েত ও সৌদি আদালতের রায় কে উপেক্ষা করে জোরপুর্বক অবৈধ পথে দেশ ফেরত এক রেমিট্যান্স যোদ্দা কে প্রতারিত করার প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব সন্মেলন কক্ষে সংবাদ সন্মেলেব লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী বিপুল মিয়া। ১৭ বছরের প্রবাসী জীবনে তাঁর কষ্টের উপার্জনকৃত প্রায় ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্যই বাংলাদেশসহ দুদেশের দুতাবাসের অসাধুপায় কিছু কর্মকর্তার ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে জানান এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিপুল মিয়াতিনি আরো বলেন, আমার টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আমাকে আটক করে আমার বৈধ কাজগপত্র না দেখিয়া কোন বিচার বিবেচনা না করিয়া কুয়েতের আদালতে সোপার্দ না করে আমার পূর্বের আল ওতাইবি কোম্পানী অর্থাৎ কোম্পানীর ও বাংলাদেশের এম্বাসির কর্মকর্তারা ষড়যন্ত্র করে আমার টাকা আৎসাতের জন্য অবৈধভাবে কুয়েত পুলিশ ও বাংলাদেশ এম্বাসি আমার পাসপোর্ট এর আউট পাসের কপিতে কুয়েত পুলিশ ও বাংলাদেশ এম্বাসির কর্মকর্তাগণ আমার স্বাক্ষর জাল/নকল করিয়া আমাকে বাংলাদেশ আমার নিজ এলাকার ঠিকানায় না পাঠিয়ে বাংলাদেশের কবিরহাট হাজীগঞ্জে চাদপুরের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। যাহা সম্পূর্ণ বেআইনী ও আইন বহির্ভূত।
বিপুল মিয়ার মা আনিছা বেগম জানান,আমি ও আমার ছেলে বিপুল মিয়া একজন সাধারণ গরীব পরিবারের সন্তান। বাংলাদেশে অতি কষ্টে স্বপরিবারে জীবন যাপন করিতেছি। দেশে আমার ছেলের কষ্টার্জিত টাকা ও বসতবাড়ী বিক্রি করে এবং পাড়া প্রতিবেশীর নিকট হতে দার দেনা করে কুয়েত গিয়ে অল্প বেতনে একটি ছোট কোম্পানীতে লেবারের কাজ করে কষ্টে জীবন যাপন অতিবাহিত করিতেছিলো। প্রায় ৪ বছর সে কোম্পানীর সাথে মোকদ্দমা করে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে পাসপোর্ট আকামা লাগিয়ে কুয়েতে দীর্ঘদিন থাকার অনুমতি পায়। কিন্তু কুয়েতে কাজ করার অনুমতি পাওয়া সত্বেও ম্যানপাওয়ার ও বাংলাদেশ এম্বাসি কর্মকর্তাগণ তাকে সে দেশে ঢুকতে বিভিন্ন ভাবে বাধার সৃষ্টি করছে। অপর দিকে বিপুল মিয়া লিখিত সংবাদ সন্মেলনে জানান, কুয়েতের আদালত আমাকে সে দেশে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি দিলেও কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশী এম্বাসির কর্মকর্তাদের যোগ সাজোসে আমার টাকা আত্মসাত করে আমাকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ আমার আর্থিক প্রায় আঠার কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখিন হই। আমার কোন অপরাধ না দেখিয়ে কুয়েত পুলিশ ও এম্বাসির কর্মকর্তাগণ এবং বাংলাদেশ এম্বাসির কর্মকর্তাগণ আমার ফিংগার প্রিন্ট না নিয়ে আমাকে চিরদিনের জন্য কুয়েতে যাওয়া অবৈধ করে সম্পূর্ণ বেআইনী পন্থায় ভিন্ন পরিচয়ে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়ে কার্গো বিমানযোগে চট্টগ্রামে নামিয়ে দেয় এবং চট্টগ্রামে কর্তব্যরত পুলিশ আমার কাগজপত্র দেখি আমার কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা অবৈধভাবে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার পায়তারা করে। তাৎক্ষণিক আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমি চাহিলে কাগজপত্র না দিয়ে আমার নির্দিষ্ট ঠিকানার জবানবন্দি নেয়। কুয়েতে আমার বৈধ উপার্জিত ৭,৪৫,৯৮৫ দিনার কোম্পানী এম্বাসির মাধ্যমে পরিশোধ করলেও এম্বাসির কর্মকর্তাগণ আমাকে আমার উপার্জিত টাকা না দিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। উল্লেখ থাকে যে, কুয়েত ও সৌদি আরবের এম্বাসিতে তাদের সহযোগিতা নিতে গিয়ে তারা আমার কাগজপত্রাদি জমা দিতে বলে। পরবর্তীতে আমি কাগজপত্রাদি জমা প্রদান করি। কিন্তু আমার কাগজপত্রাদি চাইতে গেল ৩ মাস অতিবাহিত করে এবং বলে তোমার ম্যাসেক কুয়েতে পাঠানো হয়েছে যাহার উত্তর এখনো আসেনি। তিনি সকলের কাছে তাঁর কষ্টের উপার্জিত টাকা ফেরতের জন্য বাংলাদেশ সরকার প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
খবর পেতে সিলেটের আলাপ লাইক পেইজে ( LIKE ) দিতে ক্লিক করুন
সিলেট আলাপ// মাহফুজ