সিলেটের আলাপ ডেস্ক :ভোলা সদর উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কনেকে কোলে নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মসজিদ ও কবরস্থানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভোলা পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আজাহার মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বরপক্ষের আহতদের মধ্যে মো. মহিউদ্দিন ও রায়হান চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও কনের এক মামিসহ তিনজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বর হযরত আলী (২৫) ভেদুরিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। আর কনে তামান্না বেগম (১৮) ভোলা পৌর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আজাহার মেম্বার বাড়ির আবুল খায়েরের মেয়ে।
আহত বর হযরত আলী অভিযোগ করেন, তাকে মারধর করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়েছে। তার হাতে থাকা স্বর্ণের আন্টি ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ভাংচুর করা হয়েছে মাইক্রোবাস।
তিনি আরও জানান, পারিবারিকভাবে তামান্নার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। আজ (শুক্রবার) দুপুরে ৪০ জন বরযাত্রী কনে বাড়ির বৌভাত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেকে তার খালাতো দুলাভাই কোলে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বর সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে কনেকে হাঁটিয়ে গাড়িতে তুলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আহতদেরকে দেখতে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। আপাতত কোনো পক্ষই অভিযোগ দিতে নারাজ। তারা বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিটিয়ে নিবেন। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলেও জানান তিনি।